মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
# মহেশখালীতে মোট ভোটার : ২৬৯৭২৭
# কুতুবদিয়ায় মোট ভোটার : ১,০৩,৩৮১
# ১১৮ কেন্দ্রে মোট বুথ সংখ্যা : ৭১৯
# ভৌগোলিক কারণে এ আসনের গুরুত্ব অত্যাধিক
সদ্য প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী কক্সবাজার জেলায় মোট ভোটার ১৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৬৩ জন। তারমধ্যে, পুরুষ ভোটার ৯ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮১৬ জন এবং মহিলা ভোটার ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪১ জন। জেলায় হিজড়া ভোটার রয়েছে মাত্র ৬ জন। কক্সবাজার-২ সংসদীয় আসন (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) এ মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০৮ জন। তারমধ্যে, পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯৬৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৪৩ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মোট ভোটার ছিলো ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ১২৭ জন। এ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৮১ জন। জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটার রয়েছে কক্সবাজার-২ আসনে।
কক্সবাজারের জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের জাতীয় আসন নম্বর ২৯৫ এবং জেলা আসন নম্বর কক্সবাজার-২। গভীর সমুদ্র বন্দর, এলএনজি টার্মিনাল, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, ধলঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কারণে এ আসনের গুরুত্ব বেশি। অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক, বৈশ্বিক রাজনীতি ও বঙ্গোপসাগরের কারণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি ও কুটনৈতিক তৎপরতা রয়েছে ২টি দ্বীপ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনকে ঘিরে। এ আসন ২টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় পুলিশি থানা তিনটি। মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী বন্দর থানা।
জেলা নির্বাচন অফিস এর তথ্য মতে, এ আসনের মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০৮ জন ভোটারের মধ্যে মহেশখালী উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭২৭ জন। তারমধ্যে, পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৩৬ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯১ জন। কুতুবদিয়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৩ হাজার ৩৮১ জন। তারমধ্যে, পুরুষ ভোটার ৫৪ হাজার ৩২৯ জন এবং মহিলা ভোটার ৪৯ হাজার ৫২ জন। শাহসূফী হজরত আবদুল মালেক শাহ (রহ:) এর স্মৃতি বিজড়িত কুতুবদিয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা জেলার ৯ টি উপজেলার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিন্ম।
কক্সবাজার-২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১১৮ টি। তারমধ্যে, মহেশখালী উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৮১টি। কুতুবদিয়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৩৭ টি। এ আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র ছিলো ১১৮টি। এ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবিত ১১৮ টি ভোট কেন্দ্রে মোট বুথ সংখ্যা ৭১৯ টি। তারমধ্যে, পুরুষ বুথ ৩৪৯ টি এবং মহিলা বুথ ৩৭০ টি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে সরকার একইদিনে গণভোট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভোট কেন্দ্র গুলোতে বুথ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে।
আগে এই সংসদীয় আসনটি বৃহত্তর মহেশখালী ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিলো। আবার কুতুবদিয়া উপজেলা সংযুক্ত ছিলো চকরিয়া উপজেলার সাথে। ১৯৮৪ সালে অন্যান্য আসনের সাথে কক্সবাজার-২ আসনটি পূনর্বিন্যাস করে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়। তখন থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি হতে জহিরুল ইসলাম, ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাকশাল হতে মোহাম্মদ ইসহাক বিএ, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি হতে এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি হতে আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ এবং ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি হতে দ্বিতীয় বার আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ইসলামী হতে এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর পর তিন বার আওয়ামী লীগ হতে আশেক উল্লাহ রফিক নির্বাচিত হন।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে ইতিমধ্যে বিএনপি থেকে ২ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, জামায়াত ইসলামী থেকে দলের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টি থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতা সুজা উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন থেকে মাওলানা জিয়াউল হক, গণ অধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট এস.এম রোকনুজ্জামান খাঁন মনোনয়ন পেয়েছেন।
